২০শে মে, ২০২৫ ইং, ৬ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২০শে জিলক্বদ, ১৪৪৬ হিজরী

মান্দায় স্টুডেন্ট কাউন্সিল নির্বাচন অনুষ্ঠিত। মাদারল‍্যান্ড নিউজ

মাহবুবুজ্জামান সেতু, নওগাঁ প্রতিনিধি: শিশু-কিশোরদের মাঝে গণতান্ত্রিক রীতিনীতি শিক্ষা ও চর্চার লক্ষ্যে সারা দেশের ন্যায় নওগাঁর মান্দায় বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্টুডেন্ট কাউন্সিল নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে ছাত্রছাত্রীদের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। ৩৩নং শ্রীরামপুর-২সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রায় ২২৮ জন শিক্ষার্থী বিদ্যালয় মাঠে সুশৃঙ্খলভাবে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে স্টুডেন্ট কাউন্সিলে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে।

শ্রীরামপুর-২সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্টুডেন্ট কাউন্সিল নির্বাচন বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে গোপন ব্যালট পেপারের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী, পরিবেশমন্ত্রী, স্বাস্থ্যমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী, ক্রীড়ামন্ত্রীসহ বিভিন্ন পদের ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়।

সকাল থেকেই শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ের নির্দিষ্ট ও পরিচ্ছন্ন পোশাক পরে আনন্দ-উল্লাস করে বিদ্যালয় মাতিয়ে তোলে।

রং-বেরঙের কাগজ দিয়ে মাঠ সাজিয়ে এবং প্রার্থীরা নিজ নিজ প্রতীক সংবলিত পোস্টার টানিয়ে নির্বাচনকে উপভোগ্য ও আকর্ষণীয় করে তোলে। প্রথম শ্রেণী থেকে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন পদে তাদের পছন্দের প্রার্থীদের সরাসরি গোপন ব্যালটের মাধ্যমে ভোট প্রদান করে। শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে নির্বাচন কমিশনার ১ জন, প্রিজাইডিং অফিসার ২ জন, পোলিং অফিসার ৩ জন এবং ৪ জন শিক্ষার্থী আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে নিয়োজিত ছিল।

এক বছর মেয়াদী স্টুডেন্টস কাউন্সিল নির্বাচনে ৩য় শ্রেণী থেকে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত ১২ জন বালক-বালিকা প্রার্থী স্টুডেন্টস কাউন্সিলর পদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে।

এতে বিদ্যালয়লয়ে কাউন্সিলর নির্বাচনের জন্য তফসিল ঘোষণা করে তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা প্রার্থী ও ভোটার হিসেবে অংশ নেয়। শুধুমাত্র নিজ নিজ বিদ্যালয়ের জন্য পরিবেশ (বিদ্যালয়ের আঙিনা), পুস্তক ও শিখন (বিতরণ), স্বাস্থ্য, ক্রীড়া ও সংস্কৃতি, পানিসম্পদ, বৃক্ষ রোপণ ও বাগান তৈরি, অভ্যর্থনা ও আপ্যায়ন পদে প্রার্থী নির্বাচিত করার জন্যই এই কাউন্সিল নির্বাচন।

জাতীয় নির্বাচনের মতো এখানেও শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার, রিটার্নিং অফিসার, প্রিসাইডিং অফিসার, পোলিং অফিসার ও পোলিং এজেন্ট ছিল। অন্যদিকে নির্বাচনকে ঘিরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য হিসেবে শিক্ষার্থীরা র‌্যাব, পুলিশ, বিজিবি, আনসার সদস্য সেজে ভোট কেন্দ্র নিয়ন্ত্রণ করে।

নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করে ৫ম শ্রেণীর ছাত্রী মাসুদা খাতুন, প্রিজাইডিং অফিসার ছিলেন ফাহমিদা আক্তার ও শশী (৫ম শ্রেণী), পোলিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করেন ৫ম শ্রেণীর সাদিয়া সিদ্দিক, বর্ণ ও মোহনা।

সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন প্রধান শিক্ষক শ্যামলী সরকার। উল্লেখ্য, ওই স্টুডেন্ট কাউন্সিল নির্বাচনে ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে বিগত কয়েকদিন আগে থেকেই ব্যাপক প্রচার করে নির্বাচনী প্রচার অব্যাহত রাখে।

নির্বাচনে ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণের জন্য স্থানীয় প্রশাসন, সাংবাদিক, জনপ্রতিনিধি, ক্ষুদে স্টুডেন্টস কাউন্সিল প্রার্থীর অভিভাবকরা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় সর্বস্তরের উৎসুক মানুষের পদচারণায় বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থীরাও উৎসাহিত এবং অনুপ্রাণিত হয়েছে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন সহকারী শিক্ষক আজাহার আলী, খালমা, নাজমা, বেলাল হোসেন, সখিনা, মোর্শেদা খাতুন প্রমুখ।#

তারিখঃ-২০-০২-২০১৯ ইং

প্রকাশিত: মাহবুব আলম জুয়েল(সম্পাদক)

Share Button


     এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ